Fiverr এ কাজ পাওয়ার উপায় ২০২৩ (part 2)

Fiverr এ কাজ পাওয়ার উপায় ২০২৩ (part 1) যাহারা দেখেন নি তারা ওই পার্ট আগে দেখে নিন। আগের পার্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

Fiverr এ কাজ পাওয়ার উপায়

ফাইবারের সাধারণত অনেক ধরণের কাজ  থাকে। তার মধ্যে যে কাজ গুলো বেশী থাকে সেগুলো হলোঃ

Virtual Assistant

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এমন একটি সেবা যেখানে আপনি ঘরে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে সারা বিশ্বে যেকোনো কোম্পানি কে সহযোগীতা করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে কম্পিউটার এর সঠিক ব্যবহার এবং ইংরেজিতে কথা বলা জানতে হবে।

Transcription

ট্রান্সক্রিপশনে এর জন্য আপনাকে একটি ছবি বা ভিডিও দেওয়া হবে, এবং সেই ছবির মধ্যে থাকা লেখাগুলো বা ভিডিও এর মধ্যে থাকা কথাগুলো আপনাকে টেক্সট আকারে লিখে দিতে হবে। এটি সহজ একটি কাজ যেটি করে আপনি মাসে ভালো পরিমাণ ডলার খুব সহজেই আয় করতে পারেন।

Translation

যেকোনো লেখার অনুবাদ করাকে প্রধানত ট্রান্সলেশন বলা হয়। এক্ষেত্রে, যেকোনো একটি দেশের ভাষাকে অন্য কোনো দেশের ভাষায় পরিবর্তন করে দেওয়া লাগতে পারে। যেমন বাংলা ভাষা থেকে হিন্দি ভাষা, ইংরেজি ভাষা থেকে আরবি ভাষা ইত্যাদি।

Video Editing

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিট করার মাধ্যমেও ইনকাম করা যায়। এক্ষেত্রে Adobe premiere pro বা Filmora দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারলে আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া ভিডিও এডিটিং-এর মধ্যে রয়েছে Short video ads, spokespersons video editing, visual effect সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ।

মনে রাখবেন, ভালো ভিডিও ইডিটরদের ভবিষ্যত জীবন উজ্জ্বল। আর কেবল মাত্র ফাইবারে নয়, সারা পৃথিবীতে এই ভিডিও ইডিটরদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

Article/content writing

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে content/article writing খুব জনপ্রিয় একটি কাজ । আপনি যদি ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী হন তাহলে ইংরেজিতে কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে ফাইবার থেকে অনেক ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

content writing এর চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে, এবং এর চাহিদা আরো বেড়েই চলেছে। ১ হাজার শব্দের একটি আর্টিকাল লেখার জন্য অনেকে সর্বনিন্ম ২০ ডলার চার্জ করে থাকে। বুঝতেই পারছেন, যেখানে কিনা বাংলাদেশে ১হাজার শব্দের একটি রচনা লিখে দিলে কেউ ১০০ টাকাও দিবে না সেখানে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে ১হাজার শব্দের একটি আর্টিকাল লিখে দেওয়ার জন্য ২০ ডলার। এটা টাকায় কনভার্ট করলে ১৬০০ টাকা।

তাছাড়া, আপনি যদি আমেরিকান নেটিভ কাউকে দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করিয়ে নিতে চান তাহলে ১হাজার শব্দের জন্য ১০০ ডলার গুনতে হতে পারে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কন্টেন্ট রাইটের কত মূল্য।

SEO optimization

এসইও এর পূর্নরূপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করে কোনো পেইজকে গুগলের প্রথমে নিয়ে আশার কাজ জানেন তাহলে কেবল মাত্র ফাইবার থেকেই আপনি মাসে ২হাজার ডলার এর ‍ও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান পৃথিবীতে এর মূল্য অনেক বেশি। বড় বড় কম্পানি গুলো তাদের ওয়েবসাইটকে গুগলের এক নাম্বরে নিয়ে আশার জন্য টাকার দিকে নজর দেয় না। তারা এসইও এর জন্য অনেক টাকা ব্যয় করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইট এসইও
Digital Marketing

মার্কেটিং বলতে বুঝায় কোনো একটি প্রোডাক্ট বিক্রয় করার জন্য প্রচার করা। একটি প্রোডাক্ট অনেক ভাবে মার্কেটিং করা যায়। যেমন: social media marketing, SEO, content marketing, Podcast marketing, E-mail marketing ইত্যাদি।

তো, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টরে দক্ষ হোন তাহলে বিভিন্ন কম্পানি বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রচার করার মাধ্যমে ফাইবার থেকে উপার্জন করতে পারবেন। যদি আপনার সার্ভিস সত্যি খুব ভালো হয়ে থাকে তাহলে সেখান থেকে পরবর্তীতে তাদের কম্পানিতে পার্মানেন্ট জব পেয়ে যেতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ‍সম্পর্কে আরো পড়তে এখানে ক্লিক করুন

 Programming

প্রোগ্রামিং বিভিন্ন ধরনের যেমনঃ আপনি প্রোগ্রামিং করে একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন, মোবাইল এপ্লিকেশন ও বানাতে পারবেন, কোনো সফটওয়ার ও বানাতে পারবেন কিংবা কোনো রোবট ও বানাতে পারবেন। কিন্তু আমাদের দেখে প্রোগ্রামিং বলতে ওয়েব ডিজাইন কিংবা ওয়েব ডেভেলোপমেন্টকেই বুঝানো হয়।

যাইহোক, প্রোগ্রামিং টা তুলনামূলক একটু কঠিন কাজ হয়ে থাকে। খুব বেশি দক্ষ না হলে এই কাজটি করা যায় না আর প্রোগ্রামিং শিখার জন্য আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে। কিন্তু এই কাজের চাহিদা অনেক। আপনি যদি এই কাজে অনেক দক্ষ হতে পারেন তাহলে ২ দিন কাজ করে ১০০০ ডলার ইনকাম ও করতে পারবেন।

প্রোগ্রামিং এর কাজের মূল্য অনেক বেশি। একটি প্রোজেক্টের জন্য একজন প্রোগ্রামার সর্বনিন্ম ১০০০ ডলার থেকে ৫,০০০ ডলার বা তার বেশি এমাউন্ট চার্জ করতে পারে। একজন বড় মানের প্রোগ্রামার একটি প্রোজেক্টের জন্য ৫০,০০০-১,০০,০০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করে থাকে। তো বুঝতেই পারছেন এর চাহিদা কেমন! এমনকি ফাইবার মার্কেটপ্লেসেও এর অনেক চাহিদা রয়েছে।

Graphics design

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য রয়েছে অনলাইনে বিরাট সুযোগ। আপনি যদি ভালো ডিজাইন তথা Logo design, Business card design, Banner desing, Postcard design, flyers design,  ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী হোন তাহলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে একটি ভালো বিষ্যত।

ফাইবার মুলত কাদের জন্য?

ফাইবার মুলত যাদের অনলাইনে কিছু না কিছু করার দক্ষতা আছে এবং ভাবছেন অন্য মানুষদের সেসব দক্ষতার উপর কাজ করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করবে। 

অনলাইনের অনেক প্রকার সার্ভিস আছে, আপনি চাইলে সার্ভিস গুলোর বিষয়ে পড়াশোনা করে দক্ষ হয়ে আপনিও সার্ভিস গুলো দিতে করতে পারেন।

যেমনঃ অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি সার্ভিস আছে তো যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন পারে তারা ফাইবারে কাস্টমারদের গ্রাফিক্স ডিজাইন করে দিয়ে অনেক টাকা আয় করছে। আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখে ফাইবারের মাধ্যমে কাজ করে আয় করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন ছাড়াও অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে হাজারো রকমের সার্ভিস রয়েছে । ফাইবারে একাউন্ট খুলার পরই আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। তো মূলত যারা ফ্রিলান্সিং করতে চায় ফাইবার তাদের জন্যই।

অনলাইনে কোনো সার্ভিস থাকলেই কী আমি ফাইবারে কাজ করতে পারবো?

অনলাইনে কোনো সার্ভিস থাকলেই কী আপনি ফাইবারে কাজ করতে পারবেন কী না তা নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতার উপর। এমন অনেকে আছে যাদের অনলাইনে খুব কম পরিমাণের সার্ভিস রয়েছে কিন্তু সেখান থেকে অনেক উপার্জন করছে আবার অনেকে আছে যাদের অনেক সার্ভিস থাকার শর্তেও ইনকাম হচ্ছে না।

যেহেতু আপনার আগে ফাইবারে সারা বিশ্ব থেকে অনেক অনেক মানুষ কাজ করছে সেহেতু কমপিটিশন করে কাজ পেতে আপনাকে একটু যুদ্ধ করতে হবে। কিন্তু, আপনার সার্ভিস টি যদি ভালো হয় তাহলে খুব সহজেই ফাইবারের মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যারিয়ার দাড় করাতে পারেন।

Fiverr এ কাজ পাওয়ার উপায় ২০২৩

অনেক মানুষ আছে যাদের ভালো কাজের দক্ষতা থাকার শর্তে ও ফাইবারে কোনো কাজ পাচ্ছে না। কারণ তারা ফাইবারে কাজ করার সঠিক নিয়ম জানে না।

ফাইবারে কোনো বায়ার যদি কোনো কিছু লিখে সার্চ করে তাহলে সেখানে অনেক রেজাল্ট দেখায়। মূলত প্রথম দিকে যেই রেজাল্ট থাকে তারা অধিক পরিমানে কাজ পেয়ে থাকে।

আপনিও যদি ফাইবারে কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে দেখে নিন Fiverr এ কাজ পাওয়ার কয়েকটি উপায় –

  1. ভালো করে একটি গিগ সাজাতে হবে।
  2. গিগের টাইটেল এর মধ্যে মেইন কি-ওয়ার্ড দিতে হবে যেন এটি লিখে কেউ সার্চ করলে আপনার গিগটি আগে আসে।
  3. মেটা ডিস্ক্রক্রিপশনে মেইন কি-ওয়ার্ড দিতে হবে।
  4. আকর্ষনীয় একটি গিগ ছবি দিতে হবে।
  5. গিগ ফটোর ফাইলের নামের মধ্যে মেইন কি-ওয়ার্ড রাখতে হবে।
  6. গিগ প্রকাশ করার সাথে সাথে যত জায়গার সম্ভব তা শেয়ার করে দিবেন।
  7. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো গিগ পাবলিশ করার পর থেকে আপনাদের এক্টিভ থাকতে হবে।
  8. আপনি যদি গিগ বানিয়ে ফেলে রাখেন এবং সাপ্তাহে ৩-৪ দিন ফাইবারে ১-৩ ঘন্টার জন্য সক্রিয় থাকেন তাহলে আপনি কাজ পাবেন না। প্রতিদিন এক্টিব থাকতে হবে।
  9. যে যত বেশি এক্টিব থাকে তার গিগ তত প্রথম দিকে থাকে এবং বেশি পরিমানে অর্ডায় পায়।
  10. কাজ পেয়ে গেলে কোয়ালিটি বজায় রেখে কাজ করবেন যেন ৫ স্টার রিভিও পান।

উপরিউক্ত উপায়গুলো অনুসরন করে গিগ পাব্লিশ করলে আপনি অবশ্য ফাইবারে কাজ পাবেন বলে আশা করা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন, ধন্যবাদ।

নবীনতর পূর্বতন